বর্তমান সময়ে দাড়িয়ে কিছু কথা বলছি, বলতে হয়তো বাধ্য হচ্ছি, বলতে বাধ্য হচ্ছি তার কারণ বন্ধু, বান্ধব এর জীবন টিভি সিরিয়াল, ফেইসবুক, ইউটিউব এ ভিডিও দেখি মেয়েদেরকে কিভাবে ছোট করা হয় বিভিন্ন কথার দ্বারা, হ্যা, আমি একটা মেয়ের কথা বলছি. আজ কে একটি শিশু জন্ম নিলো, শিশুটি মেয়ে, শিশুটি বড় হলো, শিশুটি অনেক ভালোবাসায়, বাড়ির সবার আদরের মধ্যে, বাড়ির সবাই তাকে pamper করতো, তাকে এক গ্লাস জল গড়িয়ে কখনো খেতে হতো না, হ্যা এই ভাবে মেয়েটি বড় হয়েছে, এর পর মেয়েটির যখন বিয়ে হলো শুরু হলো তার জীবন পাল্টানো, যে মেয়েটি এক গ্লাস জল নিয়ে খেত না তাকে প্রতি মুহূর্তে অন্যদের কে জল সার্ভ করতে হয়, যে মেয়েটিকে তার বাড়ির সবাই মিলে pamper করতো আজ সেই মেয়েটি শশুর বাড়ির সবাইকে pamper করে, যে মেয়েটিকে তার মা বাবা কখনো কোনো খারাপ কথা শোনানোর কথা ভাবতেই পারতো না আজ সেই মেয়েটিকে তার শশুর বাড়ির লোক মানে শাশুড়ি, শশুর, দেওর, ননদ সবাই মিলে প্রতিটা মুহূর্তে কথা শোনায়, যে সব কথা মারের থেকেও অনেক বেশি. মেয়েটির বর ও বুঝেও অনেক সময় বোঝে না, বা বুঝতে চায় না, বা হয়তো মা বাবা বলে অন্যায় টা কে ইচ্ছে করে মেনে নেয়, কারণ সত্যি বলার সাহস বা মেরুদন্ড হয়তো তার নেই. আবার সেই বর ই এই সাহস পায় যে সে তার মায়ের সাথে অনেক কিছু নিয়ে তুলনা করে , হ্যা সেই অমানুষ মায়ের সাথে তুলনা করে আমি বলতে চাই সেই ছেলেটার কি এতটুকু মানবিকতা বোধ থাকতে নেই যে, যারা তার বৌ কে অনবরত অপমান করে, কথা শোনায় সেই বৌ এর হয়ে একটু প্রতিবাদ করতে, সেই সব ছেলে রা কি অন্ধ,নাকি মা বলেই সব ক্ষমা, কিন্তু কেন? পৃথিবীতে বেশির ভাগ ছেলেই তার মা কে সন্মান করতে গিয়ে তার বৌ কে অপমান করে, মা কে ভালোবাসতে গিয়ে বৌ কে ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করে, আচ্ছা আমি বুঝতে পারি না আজ যে মা কাল তো সে একজন মেয়েই ছিল, জন্ম থেকেই তো সে মা হয়ে যায় নি, বা আজ যে মেয়ে কাল সেই একজন মা হবে, তাহলে কেন সমস্যা হয় একজন বৌ আর শাশুড়ির মধ্যে, একটা শিশু মেয়ে হয়ে জন্ম নিলো সে কারোর মেয়ে, এর পর বিয়ে হলো সে কারোর বৌ, এর পর সেই মেয়েটাই একটা বাচ্চার জন্ম দিলো তখন সে মা হলো, তাহলে কেন সব সময় একটা মা কেই ভগবান বানাবে সমাজ? বিশেষ করে সে যখন শাশুড়ির পর্যায়ে চলে যায়, শাশুড়ি যতই ভুল করুক না কেন সমাজের বেশির ভাগ লোক বৌ কেই কথা শোনায়? সবাই বলে একটা মা তার বাচ্চার জন্য যা পারে সেটা আর কেউ পারে না, কেন সমাজে তো অনেক মা ই তার বাচ্চাকে ডাস্টবিন এ ফেলে যায়, অন্য লোক সেই বাচ্চাকে বড়ো করে, তাহলে কি বলবো না যে সেও তো মা তাহলে কি সেই মা ভগবান যে বাচ্চাকে ডাস্টবিনে ফেলে যায় ? তাহলে কি এটা বলবো না যে যারা বাচ্চাটাকে ডাস্টবিনের থেকে তুলে এনে বড়ো করলো জীবন দিলো তারা ভগবান? তাহলে সেই রকম ই একজন বৌ ও সমাজে আছে যে তার বরের জন্য তার স্বামীর জন্য নিজের কিডনি বেঁচে দিয়ে তাকে নতুন জীবন দেয় তাহলে সেই বৌ কে কি ভগবান বলা যায় না?? আসলে ভগবান কাকে বলবো সেটা সব সময় সিচুয়েশন এর ওপর নির্ভর করে. তবে হ্যা আমি এখানে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আমার মা বাবাও আমার কাছে ভগবান স্বরূপ কারণ তারা আমার জন্য সত্যি ভগবান এর মতো কাজ করেছে. আজ কে যখন একটা মেয়ে বিয়ে করে প্রথম শশুর বাড়ি যায় সে কিন্তু সেই ফ্যামিলি এর কাউকে চেনে না, জানে না, ঠিক যেমন একটা শিশু জন্ম নিয়ে তার বাড়িতে পা দেয়, এবং সবার ভালোবাসায় সে বুঝতে পারে কে মা, কে বাবা, ঠিক তেমন ই বিয়ের পর সে সবার ভালোবাসায় বুঝতে চায় কে শশুর আর কে শাশুড়ি, কিন্তু প্রাকটিক্যাল সিচুয়েশন কি হয় তারা ভালোবাসা তো দেয় ই না উপরন্ত খারাপ ব্যবহার করে বুঝিয়ে দেয় যে তারা শশুর শাশুড়ি, কোনো মতেই মা, বাবার যোগ্যতা তাঁদের নেই, অথচ একটু ভালোবাসা দিলেই সে বিনিময়ে সেটাই দেবে. একটা মেয়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে শশুর বাড়ি যায় কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই সেই স্বপ্ন ভেঙে যায় সেই শশুর বাড়ির লোকের ব্যবহার এ. শাশুড়িরা কি একটুও বোঝার চেষ্টা করে না যে কিছু দিন আগে সে ও একই পর্যায়ে ছিল?? এত টা অশিক্ষিত? এত টা মূর্খ সেই বর এর মা ? আমি তো সেই সব শাশুড়ি, শশুর বা তার বাড়ির লোক কে মানুষের পর্যায়েই ফেলবো না কখনো. তাই বলছি ধীরে ধীরে এই সমাজ কে বদলানো উচিত, ছেলেদের কে বলছি দয়া করে একজন মা কে নয় একটা মেয়েকে সন্মান করো কারণ আজ যে একজন মেয়ে কাল ই সে মা হবে. মা বলেই সে অনেক কষ্ট পায় আর বৌ বলেই সে কোনো কষ্ট পায় না সেটা নয়, দুজনেই সমান কষ্টের সঙ্গী,এটা শুনি যে একজন শাশুড়ি কথায় কথায় তার ছেলের বৌ কে বলে আমি অনেক কষ্ট করে ছেলে কে মানুষ করেছি, অথচ তারা বোঝে না সেই বৌ কেও তার মা বাবা অনেক কষ্ট করেই মানুষ করেছে হয়তো সেই শশুর শাশুড়ির থেকে অনেক বেশি কষ্ট করেছে, একজন শাশুড়ি আর বৌ দুজনেই প্রথম জীবনে মেয়ে, দুজনেই তার পরের জীবনে বৌ এবং দুজনেই তার পরের জীবনে মা হয়, দুজনেই বাচ্চার জন্ম দিতে গিয়ে সমান কষ্ট পায়, তাই নিজের মা কষ্ট পায় আর তার বাচ্চার মা কষ্ট পায় না এটা ভাবা মূর্খতা.একটা বাচ্চার সাথে একটা মায়ের যেমন রক্তের সম্পর্ক ঠিক তেমন ই বর এর সাথে বৌ এর আত্মার সম্পর্ক দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ, একজন মায়ের সাথে যদি তার বাচ্চার নারীর সম্পর্ক হয় তাহলে সেই নারীর টান টাও তার স্বামীর জন্যই কিন্তু সম্ভব হয়,একটা মেয়ে যখন প্রেগনেন্ট হয় সেই প্রেগনেন্ট এর প্রসিজার টা কিন্তু কম ম্যাজিক নয়, অনেক স্বামীর স্ত্রী অনেক কষ্ট করে তার জন্য, তাই বলবো যে সব মানুষেরা শুধু মা নাম টা কে মূল্য দেয় তাহলে কি তাঁদের কাছে শুধু বাচ্চা হওয়ার পর সেই মায়ের দাম আছে আর সেই প্রসিজার এর কোনো দাম নেই যার কারণে একটা মেয়ে প্রেগনেন্ট হচ্ছে? সেই রিলেসন শিপ এর কোনো দাম নেই ?? তাহলে বলবো যারা এমন ই বলে তাহলে তারা তাঁদের মা বাবার রিলেসন শিপ এ দাম দেয় না. আর বলবো শুধু মেয়েকেও নয় সমাজের প্রত্যেকটা মানুষ কে সন্মান করা উচিত, আর এই লেখা টা যারা পড়বে তারা ভাববে যে সুলিম্পা এর লাইফ এ মনে হয় এই সমস্যা তাই এগুলো লিখলো, কিন্তু আমি বলছি , হ্যা কিছু টা তো অবশ্যই আছে, আর যে এই লেখাটা পড়বে তার জীবনেও যে কিছু খারাপ নেই সেটা কে বলতে পারে.আসলে আমি এখানে প্রত্যেকটা মেয়ের কথা লিখেছি, আমার জীবনের কথা নয়, শেষেও আমি মেয়েদেরকে কে তো বলবোই আর তবে বিশেষ করে ছেলেদের কে বলবো শুধু তোমাদের মা কে নয়, সমাজের প্রত্যেকটা মেয়েকে, তোমাদের বৌ কে, আর সমাজের প্রত্যেকটা মানুষকে সন্মান করো...
HIIII friends, how are you all, I think good, na? today I write my blog about the travel because last week me and my husband went to veer dam and we went to by bike.In pune ,there have a lot of visiting places and veer dam is one of them so,as i stay in pune i can go easily there but if you are not staying in pune then you can come at least once . tourist places pune So,The Veer Dam is one of the important dams in Maharashtra, India. It is a rubble-concrete dam constructed on nira river. It is located in near shirwal, Satara district. The water is mainly used for irrigation and farming. The dam is located around 70 km from Pune. You do not believe that when we reach...
Comments
Post a Comment